বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যাপাড়ায় মাথায় হাতুড়ির আঘাতে গৃহকবধূ তাছলিমা আক্তার (২৩) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাকিব উদ্দিন (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শাকিব বগুড়া সদর উপজেলার রাজারপুর ইউনিনের আনিছার রহমানের পুত্র।
গত শনিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার রাতে নিহত তাছলিমার পিতা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাকিব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তাছলিমার ঘর থেকে নিয়ে যাওয়া একটি ল্যাপটপ ও স্মার্ট ফোন আসামীর হেফাজত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার হাতুড়ি ও ইজিবাইক উদ্ধার করে।
মামলার বাদী নিহত তাছলিমার পিতা জাহিদুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ৫ বছর আগে নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র সিরাজুল ইসলামের সাথে তার মেয়ে তাছলিমাকে বিয়ে দেয়। তাঁদের ঘরে কাজিম উদ্দিন নামে ৩ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তার জামাই সিরাজুল তার মেয়েকে ফোন দেয়। ফোনে তার মেয়েকে না পাওয়ায় তার জামাই সিরাজুল সোজা তাদের বাড়ি রাজাপুরে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে সেখানে তাছলিমা যায়নি। সেখান থেকে নিজ বাড়ি নিশিন্দারায় ফিরে এসে দেখে তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে এবং পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে তাদের শিশু সন্তান কাজেম উদ্দিন। এসময় তাদের চিৎকারে পাশের লোকজন আসে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী পুলিশকে জানিয়েছে, তার ব্যবহৃত ইজিবাইকটি মেরামত করার জন্য আসামী শাকিব তার চাচাত বোন তাছলিমার বাড়িতে যায়। তাছলিমার নিকট থেকে হাতুড়ি নিয়ে ইজিবাইক ঠিক করে। হাতুড়ি দিতে গেলে তাছলিমা তাকে বিস্কুট খেতে দেয়। এসময় ধার দেয়া ১০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দিতে চাইলে শাকিব তাছলিমাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে এবং তার শিশু পুত্রকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ঘরে থাকা ল্যাপটপ ও স্মার্ট ফোন নিয়ে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ সুপার বলেন, হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আসামীকে আদালত থেকে রিমান্ডে আনা হতে পারে।
Leave a Reply